আমিনুল ইসলাম, নাইক্ষ্যংছড়ি::
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশরি নিজ বাড়িতে
যাওযায় সময় ঈদগাঁও-ঈদগড় -বাইশারি
সড়কে যাত্রীবাহী সিএনজি থামিয়ে সড়কে বেরীকেড সৃষ্টি করে এবং লুটপাট চালিয়ে ২ যুবককে অপহরণ করেছে দূর্বৃত্তরা।
ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঈদগড়-ঈদগাঁও সড়কের ভোমারিয়া ঘোনা এলাকায় গর্জন বাগানের পার্শ্ব থেকে।
অপহরণের দুই ঘণ্টা পর রাত সোয়া ১২টার দিকে জনপ্রতি ৩ লাখ করে ২ জনের কাছ থেকে ৬ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে ফোন দে পরিবারের নিকট। অপহৃত যুবকদের পরিবার জানান ,অপহরণকারী চক্রের সদস্যরা অপহৃতদের মোবাইল থেকে বারবার টাকার জন্য ফোন করে আসছে। মুক্তিপণ না দিলে হত্যার হুমকি ও দেওয়া হয়েছে।
অপহৃতরা হলেন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের তোফান আলী পাড়া গ্রামের আবদুল গফুরের ছেলে আবু তাহের (২৪ ) ও ছৈয়দুল হকের ছেলে রিফাত (২৩)।
আবু তাহের ও রিফাতের পরিবারের দাবি, শুক্রবার রাতে ঈদগাঁও বাজার থেকে সিএনজি যোগে আবু তাহের ও রিফাত বাড়ির উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে ঈদগাঁও উপজেলার ঈদগড়-ঈদগাঁও সড়কের ভোমারিয়া ঘোনা ঢালায় পৌঁছলে ডাকাতদল ব্যারিকেড দিয়ে গাড়িটির গতিরোধ করে। এ সময় দুর্বৃত্তরা নাম পরিচয় শনাক্ত করে ওই দুই যুবককে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে পার্শ্ববর্তী পাহাড়ি এলাকায় নিয়ে যায়।
তারা আরও জানান, অপহরণের পর থেকে চক্রটি তাদের ব্যবহৃত মোবাইল থেকে পরিবারের সদস্যদের ফোন করে ৬ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। তারা মুক্তিপণের এই টাকা প্রদানে অপারগতা প্রকাশ করলে শনিবার সকালে অপহৃত ২ যুবককের লাশ নিয়ে যাওয়ার কথা বলে হুমকি দেয় অপহরণকারীরা।
এ ঘটনায় ঈদগড়, বাইশারী, ঈদগাঁও এলাকার সাধারণ মানুষ চরম উৎকন্ঠায় রয়েছে। তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
এ বিষয়ে ঈদগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম কবির জানান, ডাকাতি ও -অপহরণের বিষয়টি তিনি শুনেছেন। এলাকাটি ও ডাকাত কবলিত এবং খুবিই ঝুঁকিপূর্ণ। অপহৃত দুই যুবককে উদ্ধারে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে ও তিনি জানান।
এই রিপোর্ট পাঠানো পর্যন্ত অপহৃত যুবকদ্বয় উদ্বার হয়নি। ধীর্ঘ দিন পর নত্ন করে সক্রয় হওযায় নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারি ইউনিযের মানুষ চরম নিরাপত্তা হিনতায় ভোগছে৷
পাঠকের মতামত: